যুগযুগ ধরেই তো এমন। প্রেম-ভালোবাসা মানে না সীমানা। দেশ, ধর্ম কিংবা জাতপাতকে তুচ্ছজ্ঞান করে এগিয়ে গেছে প্রেম। তাই তো তারেক মাসুদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন শেপিয়ার হয়ে যান ক্যাথিরন মাসুদ। বিনোদন অঙ্গনে এমন হার না মানা প্রেম তো অহরহই দেখা যায়। শিল্পীদের আবেগ যে বাঁধভাঙা।
বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী মিথিলা ও ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কথাই ধরুন। দেশের সীমারেখা ঘুচিয়ে প্রেমের পাঠশালার মনোযোগী শিক্ষার্থী তারা। তাদের প্রেম-বিয়ে-সংসারের টুকিটাকি খবর নিয়েও তাই কতো আগ্রহ! এ দম্পতি মনে করেন, কাঁটাতারের বেড়া তাদের ভালোবাসার কারণে সেতুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই সেতু দিয়ে এখন দুই দেশে নিয়মিত যাওয়া–আসার মাঝেই সীমানা ছাড়ানো এক সংসারে মত্ত তারা।
দেশের বিনোদন জগতে এমন সীমানা ছাড়ানো প্রেম অবশ্য একদমই নতুন নয়, উদাহরণ খুঁজতে বেগ পেতে হয় না মোটেও। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাকিলা জাফরের জীবনসঙ্গী একজন ভারতীয় নাগরিক- রবি শর্মা। একাধারে কবি ও প্রকৌশলী রবি শর্মার সাথে বিয়ের খবর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করেন শাকিলা। যদিও গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন আরও আগেই।
শাকিলাকে নিয়ে রবি শর্মা বলেছিলেন, যখন পরিচয় হয়, আমি জানতাম না যে সে একজন শিল্পী। পরে জানতে পারি। ধীরে ধীরে ভালোলাগা তৈরি হয়। এক সময় বিয়ের প্রস্তাব দিই। শাকিলা সাড়া দেয়।
শাকিলা জানান, তিনিও একা ছিলেন। রবি শর্মার মতো ভালো এক জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়ে তিনি সৌভাগ্যবান।
শাকিলার মতো সঙ্গীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিলও বিয়ে করেন বিদেশি নাগরিককে। তবে তার জীবনসঙ্গী গিটারিস্ট সেথ পান্ডুরাঙা ভারতীয় নন, মার্কিন নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া পান্ডুরাঙা বিয়ের বছর সাতেক আগে থেকেই বাংলাদেশে থাকতেন। আনুশেহর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে দেখা গেছে তাকে। একত্রে গড়ে তুলেছিলেন ‘বাহক’ নামে একটি গানের দলও। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার বনানীতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
আনুশেহর সাথে বিভিন্ন সময় পরফর্ম করতে দেখা যাওয়া জনপ্রিয় গায়ক অর্ণবও প্রেম-বিয়ে করেছেন সীমানার ওপারে। গত বছরের অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের মেয়ে সুনিধি নায়েককে বিয়ে করেন তিনি। বছর দুই আগে সুনিধির সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর বন্ধুত্ব, প্রেম ও বিয়ে।
ঢালিউডের এই সময়ের আলোচিত অভিনেতা আরিফিন শুভ বিয়ে করেন কলকাতার মেয়ে অর্পিতা সমাদ্দারকে। অবশ্য, পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অর্পিতা বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বিয়ে আগে অবশ্য বেশ কয়েকবছর ধরেই বাংলাদেশে থাকতেন অর্পিতা। শুরুতে দু’জনের মধ্যে ছিল শুধুই বন্ধুত্ব। একসময় বসন্তের হাওয়া লেগে সেটি ভালোবাসায় মোড় নেয়। এরপর পারিবারিক সিদ্ধান্তে চিরায়ত সংসারে নাম লেখান তারা।
পাঠকের মতামত: